প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পোর্টালটি “সম্পূর্ণরূপে বাছাইযোগ্য এবং নিয়মিত আপডেট করা হয়েছে”, যাতে কোনও প্রতারণা, বেনামে ফ্যান ফিকশন বা পক্ষপাতদুষ্ট কুৎসা পুনরায় প্রচার না হয়। পোর্টালে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে “সপ্তাহের অপরাধী” হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, সিবিএস নিউজ, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্সের মতো স্বীকৃত সংবাদমাধ্যমকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
পোর্টালে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করে নির্দিষ্ট প্রকাশনা ও প্রতিবেদকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছে “বৃত্তাকার প্রতিবেদন”, “রিপোর্ট করতে ব্যর্থতা”, “মিথ্যা দাবি”, “অপরাধ”, “অপচয়”, “ভুল চরিত্রায়ন”, “ভুল উপস্থাপনা” এবং “বামপন্থী পাগলামি”।
ওয়াশিংটন পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক ম্যাট মারে বলেন, “এখানে কী ঘটছে তা স্পষ্ট: সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা সাংবাদিকদের অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্ট নিরুৎসাহিত হবে না এবং কঠোরভাবে এবং নির্ভুলভাবে প্রতিবেদন চালিয়ে যাবে।”
এই নতুন পোর্টালকে স্বাগত জানিয়েছে রক্ষণশীল মিডিয়া ওয়াচডগ মিডিয়া রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। এমআরসির মিডিয়া বিশ্লেষণের পরিচালক টিম গ্রাহাম বলেন, “এটি রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতিদের আগের প্রচেষ্টার চেয়েও শক্তিশালী। সমস্ত রিপাবলিকান বুঝতে পেরেছেন যে মিডিয়া অন্যদিকে রয়েছে এবং তাদের চিহ্নিত করা দরকার।”
তবে জার্মান বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের সরকারি লক্ষ্যবস্তু করা সাংবাদিকতার পোর্টাল সাংবাদিক স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক এবং মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এই উদ্যোগ ট্রাম্পের “ভুয়া খবর” অভিযানের অংশ, যেখানে তিনি সাংবাদিকদের প্রায়শই “ভেতরে-বাইরে কুৎসিত”, “বোকা” এবং “শুয়োর” বলে অভিহিত করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পোর্টাল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্রের প্রতি আরও চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করতে পারে।